Being then ready for commitment, The elemental transformation,Of ceremony does confirm their,Resolution...ProTisruTi


Ekusher Program-Kotha Paris

 

banlalipi.jpg

একটি গোলাপের পাপড়ি
-চৌধুরী রেজাউল হায়দার

কোথায় ভীমের জন্মদাতা পবন
কথায় কথায় রটিয়ে দাও
বঙ্গ জননীর দামাল সন্তানদের জয়ধ্বনি,
অচিরেই একদিন দুরদিগন্তে জানবে সকলে
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
বায়ান্নতে মাতৃ ভাষা আন্দোলন করেই
বাংলা রক্ষার হয়েছিল লোমহর্ষক কাহিনী।

ছাত্র জনতা কৃষক শ্রমিক মানেনি কোন রাজ-রাজা আইন
মৃত্যুর ভয়াবহতা জেনেও ১৪৪ ধারা করল ভঙ্গ
মিছিল মিটিং গোলাবারুদে
পুলিশের গুলিতে হারালেন
তাদের শরীরের অঙ্গ।

বিকশিত কাঞ্চনে মুকুলের ছড়াছড়িতে
উদ্ভাশীত ভরা প্রকৃতিতে আনমনা রাখাল
চলে ফিরে স্বাধীন ভাব ছুড়ি,
ফাগুনের অষ্টদিবসে
পাকিস্থানি শাসক-পুলিশের ছোঁড়া গুলি
ছেয়েছিল দমন করিতে মায়ের মুখের বুলি।

কৃষ্ণচুড়ার লালেঢাকা প্রকৃতিকেও হারিয়ে ঘুমড়ে কাঁদায়
আর্তনাদের করুন সুর
হাজার মায়ের করে বুক খালি
শহীদের রক্তে রঞ্জিত করল রাজপথের বালি।

হাজার মায়ের বীর সেনানী নিজেদের ঝড়িয়ে ঝড়াল রক্ত
অত্যাচারীর তক্ত ভাঙ্গিয়ে বাজাল জয়ের তুর্য
বাংলা মায়ের মাতৃ ভাষা পড়ল বরমাল্য।

ধরেছিল পণ ঝরের রাতে ঠাই দাঁড়িয়ে
সাহসী বুকের পিঞ্জর খুলিয়ে,
জ্যোৎছনা ছড়ানো হাসি মাখা
নব পরিণিতার কেশবীথির টিপের মতই
হাজার রাঙ্গা লালবিন্দু ফোটার বিনিময়ে
এনেছিল মাতৃ ভাষার ভক্তির জোয়ার।

ছিল স্বপ্ন সকলের যাবে কেটে সুন্দর রজনী,
খাল বিল নদনদী আর দরিয়া কোল ঘেষে ঘাটে বসা
কলসি কাঁকনে দিবসকে
আলিঙ্গন জানাবে গ্রাম্য বধুর কথার ফুলঝুরি,
দস্যূর কপটতায় করতে পারেনি বন্ধি
তপস্যা ছিল যা জয়ভেরি ।

একটি গোলাপের পাপড়ি বাঁছাতে
ক্ষুধা তৃষ্ণার ছিলনা পরোয়া,
নিয়ে হাজার স্বপ্ন কাটিয়ে কাটায় রাত্রিদিবা ।

পায়ের তলায় থেকে থেকে
জানান দেয় উপদ্রব গরম পিচের রাস্তাতে
বঙ্গসন্তান অনড়-অটল দাঁড়ায় রুখিতে
জীবন রাখে বাজি কামান গোলার সম্মুক্ষে।

উদয় করাতে হবে এক রাঙ্গা প্রভাত
ছিলনা কোন ঢাল তলোয়ার
ছুটেছিল তারা শুধুই নিয়ে মা-জননীর আশির্বাদ,
বদলে দিল সভ্য দেশে অসভ্যতার নির্লজ্জতার রেশ আছর
গিয়েছে লুটেরাদের মহোৎসব পাপের সমাধিতে ।

পায়নি সুযোগ হায়নারা
লালিত্য রুপকথায় বুনিতে বসত;
পারেনি ফেলিতে উথাল পাথাল সর্বনাশের নিবিড় ছাপ,
কালের আবর্তে
সময়ের ফাঁদে ঝাপসা হল হানাদারের স্বপ্ন গীত।

পল্লী মায়ের কোলে সূখোনিদ্রার আশায় শিশুর হাসির ভীর
দিগ্বলয়ে ভরসা জাগায়
কল্পনার রোদ্রে শান্তিময়তায়
শত জ্বালা শত ঝির্নতা ভুলে থাকতে,

অরুনদয়ের অগ্নিশিখা কায়োমনে
পুড়ালো দেহ,উড়ালো জয়োধোঁয়া
যদিবা কাঁদিয়ে ভেসেছিল সেদিন সদ্য মেহেদীর আলপনা
কিংবা মাথায় সিঁদুর পাতা তন্বীর তনয়ার স্বপ্নখানি
থাকলো অতীত,হয়ে হল সবই নিরুত্তর ছবি।

রাখতে চেয়েছিল বাংলাতে করে সুখেরি পুর্ণ
তাই বুজি তারা রচিয়েদিল কিছু আশার বানী
বাংলা মায়ের জন্য।

-হায়দার
প্যারিস,ফ্রাঞ্চ
২০-০২-২০১০

কিছু এলোমেলো কথাকে শুধু কাগজ কলমে লিপিবদ্ধ করে কালক্ষেপন করা ছাড়া আর কিছুই নয় এটা কোন লিখা হয়নি.................
লিখাটি সংকলিত তা ছাড়া সংশোধন যোগ্যও বটে